পটভূমি
- প্রকল্পটি রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার ২৮টি উপজেলায় বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
- প্রকল্প এলাকায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, দুধকুমারসহ ছােট বড় বেশ কিছু নদী প্রবাহমান আছে, যাতে ভূউপরিস্থ পানির উৎস রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় অনেক খাল বিদ্যমান এবং উক্ত খালসমূহ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন, মাটিতে পানির পুনর্ভরণ ও মাটিতে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়, শুষ্ক মৌসুমে খালসমূহে পানি থাকে না এবং দিন দিন পানির স্থিতিশীলতা নিচে নেমে যাচ্ছে।
- প্রকল্প এলাকার চরাঞ্চলে প্রায় ৪৫,৭৭৫ হেক্টর চাষযােগ্য জমি রয়েছে (সূত্র: ডিএই প্রতিবেদন ২০১৬)। তন্মধ্যে রংপুর জেলার তালুকশাহবাজপুর চর, বালাপাড়া চর, বিশ্বনাথ চর, গােপীডাঙ্গার চর, গনাই চর, টাপুর চর, কুড়িগ্রাম জেলার আমহরি চর, বুড়িরহাট চর, গতিয়াশাম চর, কিতাবখা চর, লালমনিরহাট জেলার কালোমাটি চর, হরিণচড়া চর, শেখপাড়া চর, রজিপুর চর, খলাইঘাট চর, বত্রিশ হাজারী চর, তালপট্টি চর, নীলফামারী জেলার বাইশপুকুর চর, খরিবড়িী চর, সাতুনামা চর, হকলাবাড়ী চর উল্লেখযােগ্য। এসব এলাকার মাটি পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই কম।
- এ জেলাসমূহে ভূউপরিস্থ পানির প্রচুর উৎস থাকা সত্ত্বেও পানি সংরক্ষণের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে কাঙ্খিত মাত্রায় ভূউপরি পানি সেচ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না।
- প্রকল্প এলাকার মােট আবাদযােগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৫.৯১ লক্ষ হেক্টর। তন্মধ্যে, প্রায় ৪.২৩ লক্ষ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং প্রায় ১.৬৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। (সূত্রঃ মাইনর ইরিগেশন সার্ভে রিপাের্ট ২০১৫-১৬)। ১.৬৮ লক্ষ হেক্টর আবাদযোগ্য জমিতে ভূউপরিস্থ পানি নির্ভর সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার যথেষ্ঠ সুযােগ রয়েছে। সেচ বহির্ভুত জমির মধ্য থেকে ১৬,১৯৭ হেক্টর জমিতে ভূউপরিস্থ পানি নির্ভর সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে প্রতি বছর প্রায় ৭২,৮৮৭ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়।
- প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ গ্রামীণ জনগােষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হবে, যা প্রকল্প এলাকায় আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।